অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে প্রাথমিকের শিক্ষকরা
তিন দফা দাবি আদায়ে এবং শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আজ রোববার (৯ নভেম্বর) থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামসুদ্দিন মাসুদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো—সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, ১০ ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভকালে পুলিশের জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেলের মুখে পড়েন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় শিক্ষক ও পুলিশসহ আহত হন বেশ কয়েকজন। শিক্ষকেরা দাবি করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হঠাৎ হামলা করেছে পুলিশ। এই হামলার বিচার দাবি করেন তারা।
এর আগে গতকাল সকাল ৯টায় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। দুপুরে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে ‘কলম বিসর্জন কর্মসূচি’র ঘোষণা দেন শিক্ষকরা। তিন দফা দাবিতে তারা শাহবাগের দিকে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
আরও পড়ুন : সারা দেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এতে বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সহকারী শিক্ষকরা।
এদিকে, ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সরকার তাদের তিন দাবি বাস্তবায়ন না করলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেছে। ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি না হলে পরীক্ষা বর্জন ও আমরণ অনশন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক