দুর্নীতির মামলা : বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াতের জামিন নাকচ
ভুয়া বাড়ি ভাড়ার চুক্তিনামা দেখিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ঘুস নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ এই আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর দেলোয়ার জাহান রুমি এই আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে ঢাকার ধানমন্ডি এলাকা থেকে শিবলী রুবাইয়াতকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন (৫ ফেব্রুয়ারি) দুদকের উপপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে শিবলী রুবাইয়াতসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন—মোনার্ক হোল্ডিং ইনকরপোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ মতিন, ঝিন বাংলা ফেব্রিক্সের প্রোপাইটর আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির দিলকুশা শাখার ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের সাবেক ইনচার্জ ইসরাত জাহান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল হোসেন, এবং এসইভিপি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ।
এজাহারে বলা হয়, আসামি শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ভুয়া বাড়িভাড়া চুক্তিনামা দেখিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এক কোটি ৯২ লাখ টাকা বা প্রায় দুই লাখ ২৬ হাজার ৩০৮ ইউএস ডলার ঘুষ নেন। এছাড়া তিনি ভুয়া বিক্রয় চুক্তি দেখিয়ে পণ্য রপ্তানি না করে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় নেন।
এতে আরও বলা হয়, ব্যাংক কর্মকর্তারা কাস্টমার ডিউ ডিলিজেন্স অনুসরণ না করে এবং পণ্য রপ্তানির বিপরীতে কোনো রেকর্ডপত্র না পেয়েও কর্তব্যে অবহেলা ও পরস্পর যোগসাজশে নিজের বা অন্য কারও অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশে তিন লাখ ৬১ হাজার ইউএস ডলার বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে শিবলী রুবাইয়াত এক কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা নিজে গ্রহণ করেন।

আদালত প্রতিবেদক