মারা গেল গাজীপুর সাফারি পার্কের শেষ জিরাফটিও
গাজীপুর সাফারি পার্কে থাকা স্ত্রী জিরাফটির মৃত্যু হয়েছে। এর মাধ্যমে জিরাফশূন্য হয়ে পড়েছে পার্কটি। টিবি রোগে আক্রান্ত অসুস্থ জিরাফটিকে বাঁচানোর সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার মধ্য দিয়ে জিরাফহীন হয়ে পড়ল এই সাফারি পার্ক। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) পার্কের ভেতরেই মৃত্যু হয় জিরাফটির।
পার্ক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে পার্কটি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুর বছর থেকে দুই দফায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১০টি জিরাফ আনা হয়। ফ্যালকন ট্রেডার্স নামে আন্তর্জাতিক প্রাণি বিপণন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এগুলো আমদানি করা হয়েছিল। এরপর ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আরও চারটি জিরাফ বাচ্চা দেয়। অন্যদিকে ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে রোগাক্রান্ত হয়ে কয়েকটি জিরাফ মারা যায়। পরে ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আরেকটি জিরাফ মারা যায়। একটি স্ত্রী জিরাফ সঙ্গীহীন অবস্থায় ছিল । সেটিও ২৩ অক্টোবর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বনসংরক্ষক মো. তারেক রহমান বলেন, বেশ কয়েকদিন থেকে জিরাফটি অসুস্থ ছিল। জিরাফের চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু হাদী নূর আলী খানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে অসুস্থ জিরাফটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চলছিল। মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছিল, জিরাফটি টিবি রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে হঠাৎ করে গত ২৩ অক্টোবর বিকেলের দিকে জিরাফের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে এবং বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে জিরাফটি মারা যায়। মারা যাওয়ার পরপরই ময়নাতদন্ত হয়। ময়না তদন্ত শেষে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মৃত জিরাফটিকে পার্কের নিদিষ্ট স্থানে মাটিচাপা দেওয়া হয়। জিরাফটির মৃত্যুর বিষয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, জিরাফের মৃত্যুর বিষয়ে শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আব্দুর রউফ, গাজীপুর (শ্রীপুর)