হাসিনার কারণে এক বছরের সন্তানকে ছেড়ে জেল খেটেছি : পলাশ

শেখ হাসিনার কারণে এক বছরের সন্তানকে ছেড়ে জেল খেটেছেন জানিয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ বলেছেন, ‘আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের করণীয় কী হবে, আমরা কী করবো সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এই সভার আয়োজন। যারা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এখানে এসেছেন, সকলের প্রতিই কৃতজ্ঞতা।’
পলাশ বলেন, গত ১৭ বছর ফরিদপুরের রাজপথে কোনো আন্দোলন হয়েছে আর আমি আফজাল হোসেন খান পলাশ ছিলাম না, তা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা দিয়েছে। এই খন্দকার মোশাররফ, মুরগি বাবর আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ সব ধরনের মামলা দিয়েছে। শেখ হাসিনার কারণে আমি আমার এক বছরের সন্তানকে ফেলে জেল খেটেছি। আমাকে তারা অনেক অফারই দিয়েছিল। কোটি কোটি টাকার টেন্ডারের লোভ দেখিয়েছে। কিন্তু কেউ বলতে পারবে না, আমি কোনো ধরনের টেন্ডারবাজিতে জড়িত থেকেছি। কোনো প্রলোভনে আমাকে বিএনপির রাজনীতি থেকে ফেরাতে পারেনি।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও সংস্কারের ৩১ দফা’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ফরিদপুর জেলা বিএনপি এক মতবিনিময় সভা করেছে। গতকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় শহরের হাবেলি গোপালপুরে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশের বাসভবন প্রাঙ্গণে ওই সভায় সভাপতির বক্তব্যে আফজাল হোসেন খান পলাশ এসব কথা বলেন।
পলাশ আরও বলেন, আজও আমাদের নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারছেন না। এর পিছনে কি কোনোই কারণ নাই? আজকে আমাদের এই সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে রুখে দিতে হবে। আমরা যারা বিএনপি করি, আমাদের মৃত্যু হয়ে গেলেও কখনও কারো কাছে বিক্রি হবো না। আমরা ফরিদপুরে বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করবো। শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে, বেগম খালেদা জিয়ার নীতি আঁকড়ে থেকে, তারেক রহমানের তারুণ্যকে ভালোবেসে আমি বিএনপিকে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাব। চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবো বলে দৃঢ় অঙ্গীকার করছি।
জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি শামীম হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবি সিদ্দিকী মিতুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুল আরেফিন সাগর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এম এ সালাম লাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দীন ফকিরসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি, শ্রমিক দল ও যুবদলের অনেকে বক্তব্য দেন।