ডিভোর্সের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, স্বাবেক স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক মুন্নার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের পর অর্থ-সম্পদ লুটে নিয়ে জোরপূর্বক ডিভোর্সের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন সাবেক স্ত্রী। আজ রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্লেসক্লাবে মৌসুমী হক নামে ওই নারী সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে যুবদলনেতা মোজাম্মেল হক মুন্নার দাবি, মৌসুমি তাকে তালাকের নৌটিশ পাঠিয়েছেন। অন্যপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এখন তিনি রাজনৈতিকভাবে ক্ষতি করতে মিথ্যা দোষারোপ করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী হক জানান, ২০১১ সালে এফিডেভিটের মাধ্যমে প্রথম বিয়ে করে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন তারা। ২০২১ সালে এসে ধর্মান্তরিত করে মৌসুমী দাস থেকে মৌসুমী হক নামে তাকে পুনরায় বিয়ে করেন মোজাম্মেল। পরে বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ১৮ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা লুটে নেন এবং রাজধানী উত্তরায় একটি ফ্ল্যাট দখলে নেন তিনি। দীর্ঘদিন সংসার করলেও গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আচমকা পরিবর্তন হতে শুরু করেন তিনি। একপর্যায়ে চলতি বছরে মার্চে তাকে ডিভোর্স দেন মুন্না।
মৌসুমী হক আরও বলেন, ডিভোর্সের পর লুটে নেওয়া অর্থ-স্বর্ণালংকার ফেরত চাইলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন মুন্না, দখলে রাখা ফ্ল্যাটও ছাড়ছেন না বরং এ ঘটনায় আদালতে মামলা করলে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই অর্থ-সম্পদ ও যথাযথ বিচারের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে মোজাম্মেল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, মৌসুমি তাঁর সহপাঠী ছিলেন। সে হিসেবে তার সঙ্গে তার একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। ২০২১ সালের ১৭ মে মৌসুমী নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ একাধিক ছেলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান। চলতি বছরের ৬ মার্চ তিনি তাকে তালাকের নৌটিশ পাঠান। সব দিক বিবেচনা করে তালাক গ্রহণ করেন তিনি। তিনি কোনো অনৈতিক কাজ করেননি।
মোজাম্মেল বলেন, স্বর্ণের অলংকার মৌসুমি তার নিজ প্রয়োজনে একটি দোকানে বন্ধক রেখেছে। ফ্ল্যাট আমার নিজের টাকায় কেনা। এ সব কিছুর কাগজপত্র, অডিও রেকর্ড ও ছবি রয়েছে। শুধু রাজনৈতিকভাবে ক্ষতি করতে অন্যপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।