বান্দরবানে একটি পণ্যে ৩ দফা চাঁদা আদায়!
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা বলেছেন, পাহাড়ে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। উৎপাদিত ফসল ও পরিবহনের ওপর এবং ব্যবসায়ী সবার কাছ থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। উৎপাদিত একটি পণ্যের ওপর তিন দফায় চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে বান্দরবান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষকদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা বলেন, চাঁদাবাজির কারণে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতদিন নীরবে চাঁদাবাজি করা হলেও বর্তমানে প্রকাশ্যে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম কারা নিয়ন্ত্রণ করছে? সরকার নাকি চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী? চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কারা? চাঁদার টাকা কোথায় যাচ্ছে? এবং চাঁদাবাজদের কারা নিয়ন্ত্রণ করছে-এখন সময় হয়েছে বিষয়টি ভেবে দেখার। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের সতর্কতার সঙ্গে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সময় হয়েছে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে বান্দরবানে চাষাবাদ কমে গেছে। ফলমূল, সবজি ও মসলা চাষে অনীহা দেখাচ্ছে স্থানীয় চাষিরা। চাঁদাবাজদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাহাড়ের সাধারণ মানুষ। ভয়ে মুখ খুলে বলতে পারছে না। চাঁদাবাজদের কারণে আমি নিজেও গ্রামের বাড়িতে চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছি। গত দুই বছর ধরে আমার বাগানে সব ধরনের চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। আমার মতো পাহাড়ের অসংখ্য মানুষ চাঁদা দেওয়ার যন্ত্রণায় বাগান করছে না।’
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাপশান
বান্দরবানে কৃষকদের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আজ শুক্রবার বক্তব্য দেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। ছবি : এনটিভি

আলাউদ্দিন শাহরিয়ার, বান্দরবান