জঙ্গি রিপনের মরদেহ নেওয়া হচ্ছে মৌলভীবাজারে
ফাঁসি কার্যকর করার পর জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনের মরদেহ নেওয়া হচ্ছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কোনাগাঁও গ্রামে।
আজ বুধবার রাত ১০টা ১ মিনিটে সিলেটের কেন্দ্রীয় কারাগারে রিপনের ফাঁসি কার্যকর হয়। একই সময় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও তাঁর সহযোগী শাহেদুল আলম বিপুলের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কামাল উদ্দিন। এ ছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া। এ ঘটনায় আহত হন আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন।
এই মামলার রায়ে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রায়ে হরকাতুল জিহাদের প্রধান মুফতি হান্নান, সাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এই রায় আপিলেও বহাল থাকে।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া তিন আসামি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। তাদের আবেদন গত ১৯ মার্চ সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। এরপর প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন দণ্ডপ্রাপ্তরা। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাদের সেই আবেদন খারিজ করে দেন।

মারুফ আহমেদ, সিলেট