মিয়ানমারে নির্বাচনি কাজে ‘ব্যাঘাতের’ অভিযোগে ২২৯ জনের বিচার শুরু
মিয়ানমারে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ‘ব্যাঘাত’ সৃষ্টির অভিযোগে দুই শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে জান্তা সরকার। মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের মতে, এই কঠোর আইন মূলত ভিন্নমত দমনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আরও ৬ দেশ
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
জান্তা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তুন তুন নাউং জানিয়েছেন, নির্বাচনি প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টার অভিযোগে মোট ২২৯ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সামরিক জান্তা একটি বিশেষ আইন প্রয়োগ করে এই বিচার কার্যক্রম চালাচ্ছে। আইনটির মাধ্যমে প্রস্তাবিত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের বিরোধিতা বা সমালোচনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ব্যস্ত সড়কে চলন্ত গাড়ির ওপর আছড়ে পড়ল বিমান
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার। জান্তা বাহিনী একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছে। যদিও প্রধান বিরোধী দলগুলো এবং আন্তর্জাতিক মহলের বড় একটি অংশ এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ হিসেবে অভিহিত করে বর্জন করেছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এই ধরনের আইনি পদক্ষেপ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কর্মীদের ভয় দেখানো ও কণ্ঠরোধ করার একটি হাতিয়ার মাত্র। ইতোমধ্যেই দেশটির গণতান্ত্রিক নেতা অং সান সু চিসহ হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মী কারাগারে বন্দি রয়েছেন। জান্তার এই নতুন আইন প্রয়োগ মিয়ানমারের ভঙ্গুর রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও জটিল করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক