কেন ইন্ডিগোর হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে?
ভারতের বৃহত্তম বিমান সংস্থা ইন্ডিগো গত এক সপ্তাহ ধরে এক বিশাল পরিচালন সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে, যার কারণে সোমবার (৮ ডিসেম্বর) পর্যন্ত প্রায় দুই হাজারেরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আজ সপ্তম দিনেও ৪০০-টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। যার মধ্যে দিল্লি ও বেঙ্গালুরু সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
ফ্লাইট বাতিলের মূল কারণ
১. পাইলট বিশ্রামের নতুন নিয়ম : ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া পাইলটদের বিশ্রামের নতুন নিয়ম, যাকে ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন বলা হয়, সেই সম্পর্কে বিমান সংস্থাটির প্রস্তুতির অভাব ছিল।
২. পাইলট ঘাটতি : সিভিল এভিয়েশন ডিরেক্টরেট জেনারেল (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, নতুন নিয়ম কঠোরভাবে মানতে গিয়ে ইন্ডিগো পর্যাপ্ত সংখ্যক পাইলট সরবরাহ করতে পারছে না, যা ব্যাপক ফ্লাইট বাতিলের দিকে নিয়ে গেছে।
ডিজিসিএ এই সমস্যার জন্য ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স ও সংস্থার জবাবদিহি ব্যবস্থাপককে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে।
ইন্ডিগো বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি করতে সুপ্রিম কোর্ট আজ অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আদালত বলেছে, সরকার (কেন্দ্র) বিষয়টি বিবেচনা করে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, ইন্ডিগো বাতিল ফ্লাইটের জন্য ও যাত্রীদের কাছে তিন হাজার ব্যাগেজ পৌঁছে দেওয়ার জন্য মোট ৬১০ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে। বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয় বিমান ভাড়ার ওপর সীমা নির্ধারণ ও ফেরত প্রক্রিয়া দ্রুত করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইন্ডিগো আশা করছে, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের নেটওয়ার্ক স্থিতিশীল হয়ে যাবে।
সিইও পিটার এলবার্স কর্মীদের উদ্দেশে দেওয়া ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ধাপে ধাপে আমরা ফিরে আসছি এবং সময়মতো কর্মক্ষমতা ৭৫ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে দিল্লি বিমানবন্দর সতর্ক করে বলেছে, যাত্রীরা যেন বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে সর্বশেষ ফ্লাইটের অবস্থা পরীক্ষা করে নেন।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক