এক হাতঘড়ি বিক্রি হলো ২১৫ কোটি ৭১ লাখ টাকায়
২০১৬ সালে প্যাটেক ফিলিপের একটি হাতঘড়ি নিলামে বিশ্বের সবচেয়ে দামে বিক্রি হয়। এবার সেই হাতঘড়িটি আরও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) ঘড়িটি এক কোটি ৭৬ লাখ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১৫ কোটি ৭১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯ টাকা) বিক্রি হয়েছে, যেটির দাম ৯ বছর আগে ছিল এক কোটি ১০ লাখ ডলার। খবর এএফপির।
প্যাটেক ফিলিপের এই হাতঘড়িটি ১৯৪৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল। প্যাটেক ফিলিপের স্টেইনলেস স্টিলে তৈরি মাত্র চারটি ঘড়ির মধ্যে এটি একটি। ঘড়িটির বিরল বৈশিষ্ট্যই এটিকে স্বর্ণে তৈরির চেয়ে বেশি চাহিদার করে তুলেছে।
২০১৬ সালে প্যাটেক ফিলিপের এই ঘড়িটির সবচে বেশি দামের বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে গিয়েছিল ২০১৭ সালে। ওই বছর হলিউড তারকা পল নিউম্যানের হাতঘড়ি রোলেক্স ডেটোনার দাম পড়েছিল এক কোটি ৭৮ লাখ ডলার। এরপর ২০১৯ সালে প্যাটেক ফিলিপের গ্র্যান্ডমাস্টার চাইম ঘড়িটির দাম এটিকেও ছাড়িয়ে যায়। ওই বছর ঘড়িটি বিক্রি হয়েছিল তিন কোটি ১০ লাখ ডলারে।
কিন্তু রোববার নিলামকারীরা বলেন, ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতঘড়িগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে স্টেইনলেস স্টিলে তৈরি প্যাটেক ফিলিপের এই ঘড়িটির মর্যাদা পুনরায় নিশ্চিত হয়েছে। ঘড়িটির চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ক্রোনোগ্রাফ রেফারেন্স ১৫১৮।
নিলামকারী ফিলিপস বলেন, ঘড়িটি বিক্রি করতে মাত্র সাড়ে নয় মিনিট সময় লেগেছে। পাঁচজন দরদাতা ঘড়িটি কিনতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত একজন টেলিফোন দরদাতা ঘড়িটি কিনে নেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় একটি হোটেলে নিলাম অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় করেন বেশ কয়েকজন সংগ্রাহক, ডিলার ও ঘড়ি প্রস্তুতকারক।
ফিলিপস বলেন, ১৫১৮ মডেলের ঘড়িটি একবার হাতে পেলে একজন মনে করতে পারেন, তিনি সংগ্রহের দিক থেকে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছেন।
প্যাটেক ফিলিপ প্রায় ২৮০টি রেফারেন্সে এক হাজার ৫১৮টি ঘড়ি তৈরি করেছিল। এগুলোর বেশিরভাগই হলুদ সোনা এবং প্রায় এক পঞ্চমাংশ ছিল গোলাপি সোনা দিয়ে মোড়ানো।
প্যাটেক ফিলিপের স্টেইনলেস স্টিলে তৈরি মাত্র চারটি ঘড়ির অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায়। রোববার নিলামে উঠা ঘড়িটি সেই চারটির মধ্যে প্রথম। প্যাটেক ফিলিপ কেন এগুলো তৈরি করেছিলেন তা এখনও রহস্য।
নিলামকারীরা ঘড়িটিকে ‘প্রায় পৌরাণিক মর্যাদার একটি ঘড়ি’ বলে অভিহিত করেছেন। ঐতিহাসিক তাৎপর্য, নকশা দক্ষতা, যান্ত্রিক উদ্ভাবন ও বিরলের দিক থেকে এটিতে চূড়ান্ত সন্নিবেশ ঘটেছে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক