গাজায় হামলার পর ফের যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা ইসরায়েলের

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রোববার (১৯ অক্টােবর) গাজায় একাধিক বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণের পর স্থানীয় সময় রাত ৯টার পর পুনরায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক সূত্র বলেছে, রাফাহ এলাকায় তাদের টহলরত বাহিনীর দিকে “একটি এন্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র ও গুলি” চালানো হলে দুই ইসরায়েলি সেনা মারা যান; পরে আইডিএফ সেই হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাফাহ ও গাজার অন্যান্য জায়গায় হামলা চালায়।
হাসপাতাল সূত্র বলেছে, রাতভর বিভিন্ন স্থানে ৪৪ জন নিহত হয়েছেন।
আইডিএফ বলেছে, রাফাহে তাদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা হওয়ার পর তারা লক্ষ্যবস্তুর ওপর বোমাবর্ষণ ও টানেল ধংস করার অভিযান চালায়।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড এই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে এবং বলেছে, রাফাহে তাদের কিছু ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছানো মরদেহ ও আহতদের মধ্যে নারী-শিশু ও গৃহহারা পরিবারও আছেন; আল-আকসা ও আল-আওদা হাসপাতালে আহত ও নিহতদের মরদেহ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র গত মাসে মধ্যস্থতায় করা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে তৎক্ষণাৎ যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলি বাহিনীর কিছু সেনা সরানো এবং ত্রাণ প্রবেশ বাড়ানোর শর্ত জোরদার করেছিল। তাতে হামাস জীবিত সব বন্দি মুক্তি দিয়েছে, আর ইসরায়েল নির্দিষ্ট বন্দি ও মরদেহ ফেরত দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইডিএফ এখনো গাজার প্রায় অর্ধেকের বেশি এলাকা দখল ও নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ৬৮ হাজার ১৫৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ ৭০ হাজার ২০৩ জন আহত হয়েছেন।