ছবি বিশ্লেষণের বিশেষ ক্ষমতার স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ পাকিস্তানের
পাকিস্তান মহাকাশ গবেষণায় বড় ধরনের সাফল্য পেয়েছে। প্রথমবারের মতো একটি অত্যাধুনিক হাইপারস্পেকট্রাল (ছবি বিশ্লেষণের বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন) স্যাটেলাইট (এইচ-১) সফলভাবে মহাকাশে পাঠিয়েছে। এই নতুন প্রযুক্তি পাকিস্তানকে কৃষি, শহর তৈরি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামলানোর মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাহায্য করবে। খবর আল-জাজিরার।
পাকিস্তানের মহাকাশ ও উচ্চ বায়ুমণ্ডল গবেষণা কমিশন (সুপারকো) রোববার (১৯ অক্টোবর) উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এইচ-১ স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ ঘোষণা করে।
এই হাইপারস্পেকট্রাল স্যাটেলাইট স্থলভাগে এমন সূক্ষ্ম রাসায়নিক বা উপাদানের পরিবর্তন শনাক্ত করতে পারে, যা প্রচলিত উপগ্রহগুলোর পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে এটি ফসলের গুণমান, পানিসম্পদ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে হওয়া ক্ষতির মতো বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে বিশেষভাবে কার্যকর হবে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এইচ-১ প্রযুক্তি নির্ভুল কৃষি, পরিবেশগত পর্যবেক্ষণ, নগর পরিকল্পনা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মতো ক্ষেত্রে জাতীয় সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।
সুপারকোর চেয়ারম্যান ইউসুফ খান আশা প্রকাশ করে বলেন, এই স্যাটেলাইট কৃষি উৎপাদনশীলতায় বিপ্লব আনতে, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করতে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনা সক্ষম করতে প্রস্তুত।
এছাড়া ভূমিতে ঝুঁকি চিহ্নিত করার ক্ষমতা চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের মতো বড় উন্নয়ন উদ্যোগেও অবদান রাখবে।
পাকিস্তান এই উৎক্ষেপণকে তাদের মহাকাশ কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং শান্তিপূর্ণ মহাকাশ অনুসন্ধানে চীনের সঙ্গে তাদের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বের প্রতিফলন হিসেবে দেখছে। এ বছর এইচ-১-সহ তারা মোট তিনটি উপগ্রহ কক্ষপথে পাঠিয়েছে। এইচ-১ স্যাটেলাইট সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হতে প্রায় দুই মাস সময় লাগতে পারে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক