শিগগিরই ‘পাগল’ হয়ে যেতে পারেন ইলন মাস্ক!
গুরুতর মানসিক অসুস্থ টেসলা ও স্পেসএক্স-এর সিইও ইলন মাস্ক- এনটাই দাবি করছেন তার বায়োগ্রাফার (জীবনীকার) সেথ আব্রামসন। বিগত দুই বছর ধরে মাস্কের অনলাইন অচরণ পর্যবেক্ষণ করার কথা দাবি করে তিনি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। সেথ বলেন, ইলন মাস্ক শিগগিরই পাগল হয়ে যেতে পারেন। খবর এনডিটিভির।
গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সের (টুইটার) এক পোস্টেই এমন মন্তব্য করেছেন সেথ আব্রামসন। ওই পোস্টে তিনি বলেন, ‘ইলন মাস্ক শিগগিরই পাগল হয়ে যেতে পারেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি একজন মাস্ক বায়োগ্রাফার। আমি দুই বছর ধরে তার (মাস্কের) অনলাইন আচরণ পর্যবেক্ষণ করছি। তিনি নিজেও মানসিক অসুস্থতা, অত্যাধিক মাদক গ্রহণ এবং মারাত্মক মানসিক চাপের কথা স্বীকার করেছেন। ফলে তার গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কাও যৌক্তিক।’
এমতাবস্থায় মাস্কের প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে দাবি করে সেথ বলেন, ‘শিগগিরই মানসিক স্থিতি হারাতে পারেন মাস্ক। তার হাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বাঁচাতে হবে।’
এরোস্পেস, বৈদ্যুতিন গাড়ি, সোশ্যাল মিডিয়া এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো ক্ষেত্রে ব্যবসা রয়েছে মাস্কের। ব্যবসাসহ ট্রাম্প প্রশাসনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদেও বসছেন এই প্রভাবশালী বিলিয়নিয়ার। এজন্যই মার্কিন ভবিষ্যত নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
সেথের দাবি, সরকারি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো ক্ষমতা রয়েছে মাস্কের। এছাড়া এমন সকল ক্ষেত্রে তার প্রভাব রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। এই দুইয়ের মিশেলে মাস্কের যেকোনো কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের স্থিতাবস্থা টলে যেতে পারে।
ক্ষমতা হস্তান্তরের আগেই বাইডেন প্রশাসনের কাছে মাস্কের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করে সেথ বলেন, যেহেতু এখনও প্রশাসনিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়নি, সেই সুযোগেই মাস্কের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
সেথ আব্রামসনের এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ঘিরেই চলছে তোলপাড়। অনেকেই সেথের মন্তব্যকে সমর্থন করে মাস্কের আচরণের সমালোচনা করেছেন। আবার কেউ কেউ মাস্কের পাশে দাঁড়িয়েছেন। যদিও এটিই প্রথম নয়, এর আগেও মাস্কের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক