সিরিয়ায় আলাদা হামলায় নিহত শতাধিক
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দুটি এলাকায় কয়েকটি হামলা হয়েছে। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার এসব হামলা হয়।
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের বিরোধী মানবাধিকারকর্মীরা জানিয়েছেন, দেশটির ইদলিবের একটি মার্কেটে বিমান হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছে। অপরদিকে আলেপ্পো প্রদেশে কয়েকটি হামলায় ৪৫ জন নিহত হয়।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভ এই সমঝোতায় পৌঁছানোর ঘোষণা দেন।
বৈঠক শেষে জন কেরি বলেন, ‘আজ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করছে, যা সিরিয়ায় সহিংসতা কমাবে, দুর্ভোগ কমাবে এবং আলোচনার মাধ্যমে দেশটিতে কীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়, পালাবদল হয় তার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
সেই আলোচনা অনুযায়ী স্থানীয় সময় সোমবার থেকে ১০ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে দুটি পক্ষই জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে আরো কিছু পদক্ষেপ দরকার।
তুরস্কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর পরই ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে। অন্যদিকে ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগেরিনি ‘রাজনৈতিক পটপরিবর্তন’-এর ওপর জোর দিচ্ছেন।
সিরিয়ার বিরোধীদের একজন নারী মুখপাত্র বলেন, রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় আশার সঞ্চার হয়েছে। তবে এটি কীভাবে কার্যকর হবে, সে বিষয়ে আরো খোলাসা করা দরকার।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানার খবরে বলা হয়, রাজধানী দামেস্কে শান্তিচুক্তির অনুমোদন করেছে সরকার।
এদিকে শান্তিচুক্তির বিষয়ে আসাদ সরকারের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরানের আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

বিবিসি