তিন ইরানি বিক্ষোভকারীকে ফাঁসি দেওয়ার বিরুদ্ধে টুইট করেছিলেন দেশটিতে নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত। এর জেরে তাকে তলব করা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ মে) সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ওই টুইট করেন। 

এতে বলা হয়, “সম্প্রতি তিন বিক্ষোভকারীকে যেভাবে প্রাণদণ্ড দিয়েছে ইরান, তা মেনে নেওয়া যায় না। প্রাণদণ্ড বন্ধ হওয়া উচিত।”

আর এতেই চরম চটেছে ইরান। তাদের বক্তব্য, বিচারপ্রক্রিয়া ও শাস্তি ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে সুইস রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য করার কোনো অধিকার নেই। সুইস রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ঠিক এই কথাটিই স্পষ্ট করে জানিয়েছে ইরান।

তলব করার পর সুইস রাষ্ট্রদূত রোববার (২১ মে) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, “ওই টুইটে শুধু বয়ান নয়, ইরানের যে পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে; সেটিও ভুল। পতাকার পুরোনো ছবি ব্যবহার করেছে সুইস দূতাবাস।”

ইরানে দীর্ঘদিন ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। ১৬ বছরের এক কুর্দ নারীর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। ঠিকমতো পোশাক না পরার অভিযোগে দেশটির নীতিপুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। পুলিশের হেফাজতে তার মৃত্যুর পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইরান। রাস্তায় রাস্তায় সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। বহু তারকাও এই বিক্ষোভে অংশ নেন। সরকার কঠোর হাতে বিক্ষোভ মোকাবিলা করে। হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরই তিনজনকে প্রাণদণ্ড দেওয়ার পর টুইট করেছিল সুইস দূতাবাস। সুজারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই প্রাণদণ্ডের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার পরেই টুইটটি করা হয়।

এদিকে ইরান জানিয়েছে, ওই তিন ব্যক্তিকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়েছে কারণ, তারা তিনজনই ধর্মের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। ইরান কোনোভাবেই এই ধরনের আচরণ বরদাশত করবে না।