রাকসু নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ, গণনা চলছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট পড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ, চলছে গণনা। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে পোলিং এজেন্টদের উপস্থিততে এ গণনা শুরু হয়।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৭টি কেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয় ভোটগ্রহণ।
ভোট গণনা শুরুর আগে প্রিসাইডিং অফিসার, শিক্ষক প্রতিনিধি ও পোলিং এজেন্টদের ব্যালট বাক্স সিলগালা অবস্থায় দেখানো হয়। এরপর সিলগালা খুলে শুরুতে ১০০ ব্যালটের ভোট গণনা করে সেটি ম্যানুয়ালি মিলিয়ে দেখানো হয়।
রাকসু নির্বাচনের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ খন্দকার বলেন, সন্ধ্যায় সব প্রার্থীর এজেন্টদের নিয়ে ওএমআর মেশিন পরীক্ষা করা হয়। কয়েকটি ব্যালটে পরীক্ষামূলক ভোট দিয়ে সেটি মেশিনে গণনা করা হয়। পরে সেটি সবার সামনে প্রকাশ করা হয়। প্রার্থীদের এজেন্টরাও সেটি মিলিয়ে দেখেন। ফলাফলে যাতে কারও মনে প্রশ্ন না ওঠে এজন্য এটি করা হয়েছে। ফলে ফলাফল নিয়ে প্রার্থীদের মনে কোনো শঙ্কা তৈরি হবে না।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ভোট গণনার পুরো বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। গণনা শেষে এই মিলনায়তন থেকেই ফল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, নয়টি ভবনে ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষে সব ব্যালট বাক্স নেওয়া হয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে। ভোট গণনার সুবিধার্থে ১০০টি করে ব্যালট দিয়ে পৃথক বান্ডেল সাজিয়ে ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা হবে, যা পর্যবেক্ষণ করবে বিশেষজ্ঞ প্যানেল। সব মিলিয়ে তিন ধাপে চূড়ান্ত ফল তৈরি হবে। একটি হলের ফল তৈরি শেষে আরেকটির গণনা শুরু হবে। তাতে ২৮৩টি পদের ফল জানাতে ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, রাকসু নির্বাচনে মোট ২৮ হাজার ৯০১ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২০ হাজার ১৮৭ জন। এই হিসাবে ভোটগ্রহণের হার ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে সৈয়দ আমের আলী হলে, যেখানে ভোট পড়েছে ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর পরই রয়েছে শাহ মখদুম হলে ৭৭ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ৭৭ দশমিক ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। আর সর্বনিম্ন ভোট পড়েছে রোকেয়া হলে, ৫৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। এ ছাড়া রহমাতুন্নেছা হলে ভোট পড়েছে ৬০ দশমিক ৭০ শতাংশ, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৬১ দশমিক ৪৯ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
সার্বিক বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, অত্যন্ত সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রশাসনসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভোট প্রদানের হারও অত্যন্ত সন্তোষজনক।