মার্কেটিংয়ে নিত্যনতুন উদ্ভাবনী সমাধান সৃষ্টির ওপর জোর দিয়ে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ডিজিটাল সামিট ২০২৩’। ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ডিসরাপশন : গাইডিং থ্রু দ্য ডিজিটাল ট্যারেন’—প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ডিজিটাল সামিট ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজের পরিবেশনায় এবং দ্য ডেইলি স্টারের সহযোগিতায় এবার অনুষ্ঠিত হলো ডিজিটাল সামিটের দশম সংস্করণ।

এ বছরের সামিটে চারটি কিনোট সেশন, তিনটি প্যানেল ডিসকাশন এবং দুটি ইনসাইট সেশন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বক্তব্য দেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা এবং আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা।

আয়োজনটির স্বাগত বক্তৃতায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ডিজিটাল মার্কেটিং ক্ষেত্রে কর্মরত এবং অবদান রাখা আমাদের সবার অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে উদ্ভাবনী সমাধানের সঙ্গে আমাদের কাজকে সম্পৃক্ত করা। একটি সম্পূর্ণ ডিজিটালি রূপান্তরিত যাত্রার জন্য এখানে উপস্থিত সবার স্ব স্ব অবস্থান থেকেই কাজ করার সুযোগ রয়েছে। আমরা আশাবাদী আসন্ন বছরগুলোকে আমরা বর্তমানের সব চ্যালেঞ্জ ও সুযোগকে যথাযথভাবে ব্যবহার করে নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা করতে সক্ষম হব।’

দশম ডিজিটাল সামিটের প্রথম কিনোট সেশনে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমেদ ডিজিটাল ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অ্যানালিটিকস নিয়ে আলোচনা করেন। ইন্টেলিফাইল লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রসূন বসু আলোচনা করেন ডাটার গুরুত্ব নিয়ে। তৃতীয় কিনোট সেশনের আলোচক গুগল এপেকের চ্যানেল সেলস বিভাগের হেড অব পার্টনার পারফরম্যান্স তারা ইয়ুন মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। চতুর্থ সেশনের আলোচক ছিলেন মালয়েশিয়ার কানেক্টিং দ্য ডটসের প্রতিষ্ঠাতা ভারত আভালানি।

এ ছাড়াও দিনব্যাপী ডিজিটাল সামিটের প্যানেল ও ইনসাইট সেশনের আলোচনায় প্রাসঙ্গিকভাবে এসেছে মিডিয়া ও মার্কেটিংয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্রিয়েটিভিটির ভূমিকাসহ একটি ডিজিটাল রোডম্যাপ তৈরির জন্য অপরিহার্য পলিসির আলোচনা।

দিনের প্রথম প্যানেল ডিসকাশনে গ্রামীণফোন লিমিটেডের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব বলেন, ‘ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রে সৃজনশীলতার থেকে অধিক গুরুত্ব পাবে বিশ্লেষণী দক্ষতা। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে তাই অবশ্যই আমাদের উচিত ভোক্তাদের আচরণ বিশ্লেষণে অধিক মনোযোগী হওয়া এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া।’

প্যানেল ও ইনসাইট সেশনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাদমান সাদেকিন, মার্কেটিং ডিরেক্টর, হোমকেয়ার, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড; নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা, প্রেসিডেন্ট, উইমেন ইন লিডারশিপ, ডিরেক্টর অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ এডিটর, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম; রেদোয়ান রনি, সিইও, চরকি; কাজী মহিউদ্দিন, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই); তুসনুভা আহমেদ টিনা, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, মাইন্ডশেয়ার বাংলাদেশ; মোহাম্মদ ওবিদুর রহমান, চিফ ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অফিসার, এক্স–ইন্টিগ্রেটেড মার্কেটিং এজেন্সিসহ দেশের কর্পোরেট ও বিজ্ঞাপনী ক্ষেত্রে কর্মরত শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা।

দিনের প্রথম ইনসাইট সেশনে মাইন্ডশেয়ার বাংলাদেশের ম্যানেজিং পার্টনার তুসনুভা আহমেদ টিনা বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে আরও বেশি উদ্ভাবনী সমাধান আবিষ্কার করা সম্ভব। বিশ্বের ৬৮ শতাংশ কর্মজীবী মানুষ বিশ্বাস করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে ভোক্তা অভিজ্ঞতার মান বৃদ্ধি সম্ভব। কিন্তু, এজন্য একইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হবে যথাযথভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করতে শেখা।’

ডিজিটাল সামিট ২০২৩ বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের একটি উদ্যোগ। আয়োজনটি সম্পন্ন হয়েছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজের পরিবেশনায় এবং দ্য ডেইলি স্টারের সহযোগিতায়। এ ছাড়াও আয়োজনটির স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার ছিল বাংলাদেশ ক্রিয়েটিভ ফোরাম (বিসিএফ); ইন্টেলিফাইল; নলেজ পার্টনার ছিল মার্কেটিং সোসাইটি অব বাংলাদেশ; টেকনোলজি পার্টনার ছিল আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড; পিআর পার্টনার ছিল ব্যাকপেজ পিআর।