হাদি হত্যার ‘দ্রুত, নিরপেক্ষ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ’ তদন্তের আহ্বান ফলকার টুর্কের
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ‘দ্রুত, নিরপেক্ষ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ’ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে ফলকার টুর্ক বলেছেন, গত বছর বাংলাদেশে আন্দোলনের ‘খ্যাতিমান নেতা’ শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
সবার প্রতি শান্ত থাকার এবং সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানিয়ে ফলকার টুর্ক বলেন, “পাল্টা আক্রমণ ও প্রতিশোধ নেওয়া হলে তা বিভেদ আরও বাড়াতে এবং সবার অধিকার খর্ব করতে পারে।”
তদন্ত করে দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন, “আমি হামলায় হাদির মৃত্যুর ঘটনার দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে দায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
গত শুক্রবার গণসংযোগের সময় বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন চলন্ত মোটরসাইকেলের পেছনে বসে থাকা আততায়ী। গুলিটি লাগে হাদির মাথায়। গুরুতর আহত হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রোপচার করার পর রাতেই তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে তার মৃত্যুর খবর আসে। এরপর খুনিদের বিচারের দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় বিক্ষোভ। এরমধ্যেই একদল লোক মধ্যরাতে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে রাত ১টা থেকে আড়াইটার মাঝামাঝি সময়ে ধানমণ্ডিতে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ভবনে ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে পৌনে আটটার দিকে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ আরেক ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়।
মানবাধিকার সমুন্নত রাখা এবং আরও সহিংসতা প্রতিরোধে সরকার ও সব অংশীজনের সঙ্গে কাজ করতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় প্রস্তুত বলেও জানান ফলকার টুর্ক।

নিজস্ব প্রতিবেদক