সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীর
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা একটি মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ মামলায় তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে নেওয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানায় সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। সে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে। এরপর এই মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসছেন। তদন্তকারী থানার পুলিশের মাধ্যমে গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্সের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ সাংবাদিক আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগে নাম আসা অপর দুজন হলেন- মডেল মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
উত্তরা পশ্চিম থানায় লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে ঘাপটি মেরে দেশে অবস্থান করে দেশের স্থিতিশিলতা ও অবকাঠামোকে ধ্বংসের লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র করে আসছে।
এতে আরও বলা হয়, বিবাদীরা ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠনকে ফিরিয়ে আনার প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে আসছে। এর মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগকে পুনবার্সনের পাঁয়তারা করে আসছে। বিবাদীদের বিভিন্ন পোস্টের ফলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা অনুপ্রাণিত হয়ে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করা ও অবকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছে।
এর আগে গতকাল (রোববার) রাত ৮টার দিকে আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ধানমন্ডির একটি জিম থেকে তাকে নেওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে।
চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে হেফাজতে নেয় ডিবি পুলিশ। পরদিন ৭ ফেব্রুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক