২১ ঘণ্টাতেও উদ্ধার হয়নি শিশু সাজিত
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের এখনো চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রায় ২১ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও শিশুটিকে উদ্ধার করা যায়নি।
জানা গেছে, এস্কেভেটর দিয়ে চলমান খননকাজ শেষ হয়েছে। এখন খনন করা গর্ত থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে শিশুটি যে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে গেছে, সেখানে ঢোকার চেষ্টা করছে উদ্ধারকারীরা।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, শিশুটি যে গর্তে পড়ে গেছে তার পাশেই এস্কেভেটরের মাধ্যমে ৪০ ফুট গভীর খনন করা হয়েছে। এখন ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ টিম খনন করা গর্ত থেকে সেই গর্তে সুড়ঙ্গ করছে।
দিদারুল আলম বলেন, আমরা সুড়ঙ্গ করার পর ওই গর্তে যদি শিশুটিকে পাওয়া না যায়, তাহলে আর খনন করা সম্ভব হবে না। নলকূপের গভীরতা ১৫০ থেকে ২০০ ফুট। নলকূপের ভেতরে যেকোনো জায়গায় আটকে থাকার সম্ভাবনা আছে শিশুটির।
এর আগে বুধবার দুপুর ১টার দিকে পরিত্যক্ত গভীর নকলকূপের গর্তে পড়ে যায় দুই বছরের শিশু সাজিদ। প্রথমে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। তারা ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তানোর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে ভেন্টিলেশন দেয়। পরে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আরও চারটি ইউনিট এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। প্রথমে চার্জ ভিশন ক্যামেরার মাধ্যমে গভীর নলকূপের গর্তে শিশুটির অবস্থান বোঝার চেষ্টা করলেও ৩৫ ফুট গভীরে শিশুটির অবস্থান না পাওয়ায় পাশেই এসকেভেটর দিয়ে রাতভর খনন কাজ করা হয়। সকালে ৪০ ফুট খনন শেষে এখন সুড়ঙ্গ তৈরির চেষ্টা করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এদিকে উদ্ধার তৎপরতাকে কেন্দ্র ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম ও স্থানীয় প্রশাসন তাদরকি করছে। শতশত উৎসুক মানুষ উদ্ধার এলাকায় শিশুটির জন্য দোয়া প্রার্থনা করছেন।

শ. ম সাজু, রাজশাহী