মায়ের ফেলে যাওয়া নবজাতক পেল নতুন ঠিকানা
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মায়ের ফেলে যাওয়া নবজাতককে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কার্যনির্বাহী পরিষদের কর্মকর্তারা সদর উপজলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে শিশুটিকে সুস্থ করে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে অনুষ্ঠানেকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিশুটিকে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব গোলাম আজম ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া অরবিন্দ শিশু হাসপাতালের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি আব্দুস সামাদ, সহসভাপতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক শামীম কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর ইসলাম খান (শাহীন খান), শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, নির্বাহী সদস্য আব্দুর রশিদ তোতা ও কাশী কুমার দাস ঝন্টু উপস্থিত ছিলেন।
হস্তান্তর অনুষ্ঠনে সাংবাদিকদের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, গত ৬ নভেম্বর এক নারী বাজারের ব্যাগে করে নবজাতকটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে এবং নবজাতকের মাকে ডেকে আনার কথা বলে পালিয়ে যায়। পরে আমরা নবজাতকের সঙ্গে একটি চিরকুট পাই। তাতে লেখা ‘শিশুটি মুসলিম। বিশেষ কারণে ফেলে গেলাম, কাউকে লালন-পালন করতে দিবেন মানুষ করার জন্য।’
অধ্যাপক নুরুল ইসলাম আরও বলেন, উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে শিশুটির সুচিকিৎসার জন্য অনুরোধ করে পত্র দেওয়া হয়। পরে তারা শিশুটিকে নিয়ে সুস্থ করে তুলে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১১ নভেম্বর উপজলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভায় শিশুটিকে লালন পালন করার জন্য পরিচর্যাকারীর জন্য ঘোষণা দিলে ১৫টি আবেদন পড়ে। আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা নওগাঁ উপজেলার এনায়েতপুর (শান্তাহার) এলাকার এক নিঃসন্তান দম্পতিকে হস্তান্তর করছি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন বলেন, শিশুটিকে লালন-পালন করার জন্য এবং চিকিৎসা প্রদানে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল যে অবদান রেখেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা চাই এই শিশুটি একদিন আলোকিত মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির নিবেদিত প্রাণ হবে।

ফারুক হোসেন, দিনাজপুর