নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগনেতা-শিক্ষকসহ ১৬ জনের শাস্তি
বৈষম্যবিরোধী জুলাই আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি, হুমকি প্রদান ও বিশৃঙ্খলা ঘটানোর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক, এক কর্মকর্তা ও ১৩ শিক্ষার্থীকে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত কমিটি ও শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্তের অনুমোদন হয়।
শিক্ষকদের মধ্যে সাবেক প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সাবেক পরিচালক ড. মো. মেহেদী উল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই শাস্তি পেয়েছেন সাবেক রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন, তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। আর যেসব শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করেছেন, তাদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সনদ বাতিল করা হয়েছে। শাস্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছেন–ছাত্রলীগের শাখা সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রিয়েল, আনাস সরকার, জুবায়ের আহমেদ সাব্বির (অ্যালেক্স সাব্বির), ইঞ্জামামুল হাসান, কে এম রাজু, তৃণা মির্জা, রিয়াজ উদ্দিন, নাইম আহমেদ দুর্জয়, হাসিব সিদ্দিকী, তাসনীমুল মুবীন, মোস্তাকিম মিয়া ও পারভেজ মাতুব্বর।
চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা, ধর্ষণের হুমকি, চিকিৎসাসেবায় বাধা সৃষ্টি এবং উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১০ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা এবং সদস্য সচিব ছিলেন প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান।

রোহান চিশতী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়