শেখ হাসিনা, জয় ও পুতুলের রায়কে কেন্দ্র করে নিম্ন আদালতে নিরাপত্তা জোরদার
আলোচিত পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট জালিয়াতির ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের রায়কে কেন্দ্র করে নিম্ন আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এই রায় ঘোষণা করবেন। রায়কে কেন্দ্র করে ঢাকার নিম্ন আদালতের মহানগর দায়রা আদালতের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি দল আদালতের মূল গেটে অবস্থান নিয়েছেন। এ ছাড়া গুলিস্তানের পর থেকে মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়, এছাড়া রায়কে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথাও জানা গেছে।
এসব মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত রোববার রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। অপর আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়নি। তারা আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে পারেননি।
পৃথক এই তিন মামলার মোট আসামি ২৩ জন। প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ জন ও তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের সাত সদস্য ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের জানুয়ারির ১৪ তারিখ পৃথক মোট ছয়টি মামলা করে দুদক। ছয়টি মামলায় মোট আসামি ৪৭ জন। এই মামলাগুলোর তিনটিতে আজ রায় ঘোষণা করা হলো। বাকি ৩টি মামলায় ১ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করা হবে। ওই তিন মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও শেখ পরিবারের অন্য আসামিরা হলেন- শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক।
শেখ পরিবার ছাড়া ছয় মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।

নিজস্ব প্রতিবেদক