১৩ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা, শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিল আবহাওয়া অফিস
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কষ্ট বেড়েছে খোলা আকাশের নিচে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষের। হিমালয়ের পাদদেশে বইছে হিমেল বাতাস, যার প্রভাবে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা দ্রুত নেমে আসছে। এই তীব্র ঠান্ডায় কাঁপছে পুরো জেলা। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। এদিকে মাসের শেষে শৈত্যপ্রবাহের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
করতোয়া নদীতে বালু তোলায় নিয়োজিত শ্রমিক নুর ইসলাম বলেন, ‘রাতে গরম কাপড় ছাড়া বের হওয়া যায় না। সকালে নদীতে নামলে হাত-পা জমে যায়। পানি এমন ঠান্ডা লাগে যেন বরফে নামছি। কিন্তু পেটের দায়ে না নামলে উপায় নেই।’
আরেক শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখনও কোনোভাবে নদীতে নামা যায়, কিন্তু আরও কিছুদিন পর হলে আর নামা যাবে না। তখন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে।’
স্থানীয়রা জানান, ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিক, সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকে চরমে। দিনের বেলা কিছুটা রোদ উঠলেও উত্তরের হিম বাতাসে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা কিছুটা কমে যায়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, তেঁতুলিয়ায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা কিছুটা করে কমছে। উত্তরের দিক থেকে হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করায় তাপমাত্রা আরও কমবে। চলতি মাসের শেষের দিকে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস মিলেছে। গত কয়েক দিনের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, শীতের প্রভাব ক্রমাগত বাড়ছে। সোমবার ছিল ১৬ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ছিল ১৪ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও গতকাল বুধবার ছিল ১২ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফাহিম হাসান, পঞ্চগড় (সদর-আটোয়ারী-বোদা)