সারা দেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা
শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার (৯ নভেম্বর) থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
১০ম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) শাহবাগে বিক্ষোভকালে পুলিশের জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেলের মুখে পড়েন। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় শিক্ষক ও পুলিশসহ আহত হন বেশ কয়েকজন। শিক্ষকেরা দাবি করেন, তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হঠাৎ হামলা করেছে পুলিশ। এই হামলার বিচার দাবি করেন তারা।
পরে শিক্ষক নেতারা আগামীকাল রোববার থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন।
এর আগে আজ সকাল ৯টায় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। দুপুরে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে ‘কলম বিসর্জন কর্মসূচি’র ঘোষণা দেন শিক্ষকরা। তিন দফা দাবিতে তারা শাহবাগের দিকে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো— সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, ১০ ও ১৬ বছর চাকরি পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সংক্রান্ত জটিলতার স্থায়ী সমাধান ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি এবং শিক্ষক সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার। গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম ও ১৩তম থেকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এতে সহকারী শিক্ষকরা বঞ্চিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
অন্যদিকে, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের আরেক অংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন ও শতভাগ পদোন্নতির দাবিতে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা দিয়েছে। তাদের দাবি মানা না হলে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর অর্ধদিবস কর্মবিরতি, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং ২৭ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

নিজস্ব প্রতিবেদক