কুমিল্লায় চোরের উপদ্রব, অতিষ্ঠ নগরবাসী
কুমিল্লা নগরীতে সম্প্রতি চোরের উপদ্রব মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। ছিঁচকে চুরি থেকে শুরু করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ।
নগরীর ফৌজদারী এলাকার বাসিন্দা আবদুল হক হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ভাই, চোরের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। বাসার ডিশের তার, দরজার সামনের জুতা সবই নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বলছে সিসি ফুটেজ না থাকলে চোর ধরা সম্ভব নয়।
অন্যদিকে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক অভিযোগ করেন, টাউনহলের সীমানা প্রাচীরের গ্রিলগুলো পর্যন্ত চুরি হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এ নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। তিনি জানান, ধর্মপুর, ছায়া বিতান, দৌলতপুর এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই ছাত্রাবাস ও মেসে চোরের দল হানা দিচ্ছে। ছিঁচকে চুরির ভয়ে শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ।
সম্প্রতি নগরীর ছোটরা এলাকায় এক প্রবাসীর বাসভবনে হানা দিয়ে চোরের দল টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। অবাক করা বিষয় হলো, ওই ভবনে ভাড়া থাকা জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তার বাসাতেও চোরের দল হানা দিয়ে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয়। দিনে-দুপুরে এমন দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী হতবাক।
আরও পড়ুন : অ্যাসিডযুক্ত পানি খেয়ে মারা গেল ৫ গরু, অসহায় কৃষকের কান্না
নগরীর পুরাতন চৌধুরী পাড়া এলাকার বাসিন্দারা জানান, ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ মাদকাসক্তের সংখ্যা বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে প্রায় প্রতিদিনই ছিঁচকে চোরের দল বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে হানা দিচ্ছে।
নগরীর বাদশা মিয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা সোহানুর রহমান জানান, শাসনগাছা রেলওয়ে ওভারপাসের রেসকোর্স এলাকায় ভোর রাতের দিকে যখন মাছের গাড়িগুলো রাজগঞ্জ বাজারের দিকে যায়, তখন একদল চোর চলন্ত গাড়ির পেছন দিয়ে উঠে মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। গেলো মাস ছয়েক ধরে এই ছিঁচকে চুরির হিড়িক লেগেছে নগরীর পাড়া-মহল্লায়।
আরও পড়ুন : আজানের সময় গান থামিয়ে দিলেন সোনু নিগম
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে। প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে চোর-ছিনতাইকারীরা। কোথাও চুরি বা ছিনতাই হলে পুলিশকে সঙ্গে সঙ্গে লিখিত অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানান তিনি।

মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা