প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলে দিয়েছেন, তাই নির্বাচন সেভাবেই হবে এবং সেই প্রক্রিয়া অগ্রসর হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, এই সরকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত যে কাজগুলো করার কথা, তা করে যাবে এবং ক্যাবিনেটে সেই সিদ্ধান্তগুলোই নেওয়া হবে।

আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে কাপ্তাই হ্রদের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ক্যাবিনেট মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত হবে কবে শেষ ক্যাবিনেট মিটিং হবে। তবে তফসিল ঘোষণার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিজস্ব দায়িত্ব। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা তাদের সময় নির্ধারণ করে দেব, আর তাঁরা সে অনুযায়ী তফসিলের তারিখ দেবে—বিষয়টি এমন নয়।’

আরও পড়ুন : নির্বাচনে বৃহৎ জোটের পরিকল্পনা বিএনপির

কাপ্তাই হ্রদের স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে উপদেষ্টা মৎস্য আইন নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৫০ সালে মৎস্য আইন সংশোধনের পরও মেইট সাইজের জাল আইনে সারা দেশে কোথাও মানছে না। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সভা করে নিষিদ্ধ জালগুলোকে সত্যি সত্যি নিষিদ্ধ করতে হবে।

জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্যা তুলে ধরে বলেন, কাপ্তাই হ্রদে দীর্ঘদিন ড্রেজিং না হওয়াতে হ্রদের নাব্যতা কমে এসেছে। ফলে সারা বছর মাছ পাওয়া যায় না। এছাড়া মাছ ল্যান্ডিংয়ে বেশি সময় লাগার কারণে মাছের গুণগত মান নষ্ট হওয়ায় কম দাম পাওয়ারও অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন : জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচন দিতে পারে না সরকার : সারজিস

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, বিএফডিসি রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মো. মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনসহ মৎস্যজীবী ও ব্যবসায়ী নেতারা।