জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে পরিত্যক্ত সম্পত্তি হস্তান্তর, অনুমতি ও নামজারি করে গুলশান-২ আবাসিক এলাকার ১০৪ নম্বর সড়কের ২৭/বি নম্বরে ২৭ কাঠা সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ২৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ-৯ এর বিচারক কবির হোসেন প্রামাণিক এ আদেশ দেন। এদিন আসামির পক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করেন। 

এদিন আদালতে আসামি ইফফাত হক ও তার স্বামী মোহাম্মদ আব্দুল মঈনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। অপরদিকে সালাম মুর্শেদী, নুরুল হক, রহমান ভুঁইয়া ও মাহবুবুল হকের পক্ষে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করা হয়। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন এদিন ধার্য করেছেন। শুনানিকালে সালাম মুর্শেদীকে আদালতে হাজির করা হয়।

মাহবুবুল হকের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঢাকার বিশেষ জজ ৯নং আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান মাহবুবল হক।

নথি থেকে জানা গেছে, মামলার অপর আসামিরা হলেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম ও প্রকৌশলী এম আজিজুল হক, সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট) মো. আজহারুল ইসলাম ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিব উল্লাহ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সহকারী সচিব আবদুস সোবহান, কক্সবাজারের রামুর বাসিন্দা মীর মোহাম্মদ হাসান ও তার ভাই মীর মো. নুরুল আফছার।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গুলশানে পরিত্যক্ত প্লট দখলের অভিযোগে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে এ মামলা থেকে সালাম মুর্শেদীকে বাদ দেওয়া হয়। পরে গত ৩১ ডিসেম্বর সালাম মুর্শেদীসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ও সরকারি কর্মচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং অসৎ উদ্দেশ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে খ তালিকাভুক্ত গুলশান আবাসিক এলাকার সিইএন (ডি) ২৭, হোল্ডিং নম্বর-২৯, রোড নম্বর-১০৪ প্লটটি পরিত্যক্ত ২৭ কাঠা সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও অবমুক্তকরণ ছাড়াই জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ডপত্র তৈরি করেন। যা পরে হস্তান্তর অনুমতি ও নামজারি অনুমোদন করার মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের সুযোগ তৈরি করে।

গত বছরের ১ অক্টোবর সালাম মুর্শেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।