প্রযুক্তির যুগে হারিয়ে যাচ্ছে লাল রঙের সেই ডাকবাক্স
একসময় মানুষের প্রধান যোগাযোগের মাধ্যম ছিল হাতে লেখা চিঠি। সুখ-দুঃখের খোঁজখবর, প্রেমের বার্তা, সামাজিক বা প্রাতিষ্ঠানিক যেকোনো সংবাদ- সবই পৌঁছাত ডাকপিয়নের ঝুলিতে থাকা সেই চিঠির মাধ্যমে। চিঠি আদান-প্রদানের মূল ভরসা ছিল রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা লাল রঙের ডাকবাক্স। তবে বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে সেই ডাকবাক্স কেবল অতীতের স্মৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে একসময় ডাকবাক্স ছিল যোগাযোগের শেষ ভরসা। পরিবারে কিশোররা পর্যন্ত প্রতিযোগিতা করত- কে আগে গিয়ে চিঠি ফেলবে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব কিংবা অফিস-আদালতের প্রয়োজনীয় সংবাদ- সবই পাঠানো হতো সেই ডাকবাক্সের মাধ্যমে। কিন্তু আজ এসব ডাকবাক্স ব্যবহার না হওয়ায় পড়ে আছে অবহেলায়। কোথাও ভাঙাচোরা, কোথাও আবার মরিচায় ক্ষয়ে গেছে লাল রঙ।
আদিতমারী উপজেলা ডাকঘর ও ইউনিয়ন পর্যায়ের শাখা অফিসগুলোতে একসময় প্রতিদিন নিয়মিত খোলা হতো ডাকবাক্স। বর্তমানে আর প্রতিদিন খোলার প্রয়োজন পড়ে না। চিঠির ব্যবহার কমে যাওয়ায় ডাকবাক্সগুলো দিন দিন অচল হয়ে পড়ছে।
লালমনিরহাট জেলা পোস্টমাস্টার নূরনবী বলেন, এই জেলায় ৮১টি পোস্ট অফিস রয়েছে। ডাকবাক্সগুলো নিয়মিত খোলা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তবে আগের মতো আর কেউ চিঠি ফেলে না। উপজেলা ও শাখা পর্যায়ের ডাকবাক্সগুলোতে ব্যক্তিগত চিঠি এখন খুব কমই পাওয়া যায়।
নূরনবী আরও বলেন, বর্তমানে ডাকবীমা কার্যক্রম ও অফিস-আদালতের চিঠিপত্র ছাড়া ব্যক্তিগত চিঠি নেই বললেই চলে।

ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)