দুই যুগেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি পবার বাগানপাড়া গ্রামে
 
রাজশাহী নগরীর কোলঘেঁষা পবা উপজেলার হাড়ুপুর বাগানপাড়া গ্রামে দুই যুগ পার হলেও পৌঁছেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। বর্ষা এলেই কাদামাটি আর জলাবদ্ধতায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে প্রধান সড়কটি। দুর্ভোগে পড়েন স্কুলগামী শিশু, রোগী, বয়স্কসহ প্রায় আড়াই হাজার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পবা উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হাড়ুপুর বাগানপাড়া জামে মসজিদ থেকে শরিফের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬৫৫ মিটার সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে এলজিইডি কর্তৃক নির্মিত এই কাঁচা সড়কে এরপর আর কোনো উন্নয়ন হয়নি।
বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি কাদায় পরিণত হয়। ফলে স্কুলগামী শিশু, অসুস্থ মানুষ, এমনকি দাফন-কাফনের সময় মৃতদেহ বহনে প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একমাত্র এই পথ দিয়েই গ্রামবাসীর দৈনন্দিন চলাচল, কেনাকাটা ও জরুরি সেবার কাজ চলে।
স্থানীয় বাসিন্দা আকবর আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২৫ বছর আগে রাস্তা হয়েছে, এরপর কেউ কোনোদিন খবর নেয়নি। বৃষ্টির দিনে রাস্তায় চলা যায় না, পা পিছলে পড়ে যেতে হয়। মেম্বার-চেয়ারম্যানদের কেউ গ্রামে আসে না।
একই অভিযোগ করেন গ্রামবাসী আব্দুস সামাদ। তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, কেউ শুনে না। আগে বিএনপি সরকারের আমলে এই রাস্তা হয়েছিল। তারপর আওয়ামী লীগ সরকার এলেও কেউ ফিরেও তাকায়নি।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য লাল মোহাম্মদ জানান, আমি দায়িত্বে থাকার সময় শ্রম দিয়ে এই রাস্তা করিয়েছিলাম। এরপর বারবার চেষ্টা করেও কোনো উন্নয়ন হয়নি। এই রাস্তায় কবরস্থানও আছে, যেখানে দাফন-কাফনে হাজার হাজার মানুষ আসে। অথচ এখানে গাড়ি ঢোকে না।
পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরাফাত আমান আজিজ বলেন, আমি এ ব্যাপারে অবগত ছিলাম না। গ্রামবাসী যদি আমাকে সরাসরি জানায়, তাহলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 
                   আবু সাঈদ রনি, রাজশাহী (সদর-গোদাগাড়ী-পবা)
                                                  আবু সাঈদ রনি, রাজশাহী (সদর-গোদাগাড়ী-পবা)
               
 
 
 
