শিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতি, ১৩ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ
কুড়িগ্রামে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষক শাহীনের বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২২ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে রৌমারী উপজেলার গোয়াল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ সোমবার রৌমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ডাকাতরা বাড়ির পুরুষ ও নারী সদস্যদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে রেখে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৩ লক্ষাধিক টাকার নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী শাহীন জানান, রাত ২টার দিকে হঠাৎ বাড়ির দরজা খোলার বিকট শব্দ শোনা যায়, এরপর তার ঘুম ভেঙে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আট থেকে ১০ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত বাড়ির পেছন দিক দিয়ে টিনের বেড়া কেটে প্রবেশ করে। এরপর লোহার দরজার তালা ও গ্রিল ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। প্রথমে পরিবারের সদস্যদের ঘুম থেকে জোরপূর্বক জাগিয়ে তোলে। পরে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে।
ভুক্তভোগী শাহীন বলেন, ডাকাতরা পরিবারের সদস্যদের ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায় এবং টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার কোথায় রাখা আছে তা জানাতে চাপ প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে তারা ঘরের আলমারি, ড্রয়ার ও বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোনসহ আনুমানিক ১৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নেয়। পুরো ডাকাতি প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে।
ঘটনার পরপরই আশপাশের মানুষজন রৌমারী থানায় খবর দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে এবং ডাকাতির প্রবণতা বাড়ছে। দ্রুত ডাকাতদের গ্রেপ্তার এবং বিচার দাবিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিক তদন্তে এটা একটি পরিকল্পিত ডাকাতি বলেই মনে হচ্ছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের অভিযান চলছে। আশা করছি দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

মাসুদ পারভেজ, কুড়িগ্রাম (চর রাজিবপুর-রৌমারী)