পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো মানুষের চাপ এবং সড়কের পাশে কোরবানির পশুর হাট বসার কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যখন তীব্র যানজট চলছে, ঠিক সেই সময়েই সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সড়কের গর্ত ভরাটের কাজ শুরু করেছে। ঈদযাত্রার এই ব্যস্ততম সময়ে এমন কর্মকাণ্ডে যানজট পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, যা যাত্রীদের দুর্ভোগে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরেই ঘরমুখো মানুষের স্রোত ও মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অস্থায়ী পশুর হাটের কারণে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহনের চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। বিশেষ করে, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে অনেক হাটের মাঠ কর্দমাক্ত হয়ে যাওয়ায় বিক্রেতারা সড়ক ঘেঁষেই গরু-ছাগল রাখছেন এবং সড়কের ওপরই যানবাহন থেকে পশু নামানো-ওঠানো হচ্ছে, যা যানজটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই চরম ব্যস্ততার মধ্যেই সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হওয়া ছোট-বড় গর্ত ভরাটের জন্য সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। ফলে সড়কের একটি বড় অংশ সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় যানজট আরও তীব্র আকার ধারণ করছে এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকছে।

ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলছেন, এই সংস্কার কাজটি আরও আগেই সম্পন্ন করা যেত। ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে, যখন সড়কে সর্বোচ্চ চাপ থাকে, তখন এই ধরনের কাজ শুরু করাটা কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনাহীনতা ও কাণ্ডজ্ঞানহীনতার পরিচায়ক। তারা আরও বলেন, আগে থেকেই সড়কের ছোট ছোট গর্তগুলো মেরামত করে রাখলে এখন এই ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। এই পরিস্থিতিতে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন যাত্রীরা।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) চট্টগ্রাম দক্ষিণের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, গত কয়েকদিন টানা বর্ষণ ছিল। আমরা কোনো ধরনের মেরামত কাজ করতে পারিনি। এখন রোদ আছে, তাই ঈদযাত্রা সহজ করতে গর্তগুলো ভরাট করে দিচ্ছি।