হাতের লাঠিই পথচলার সাথী অন্ধ মুয়াজ্জিন হাসানের
দৃষ্টিশক্তি না থাকলেও হাতের লাঠিতে ভর করে মসজিদ কিংবা বাজার সবখানে ছুটে চলেন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার অন্ধ মুয়াজ্জিন হাসান। হাতের লাঠিই তার পথচলার সাথী। এই লাঠিতে ভর করে নিয়মিত মসজিদে যান তিনি। আজানের সুললিত কণ্ঠে মানুষকে আহ্বান করেন নামাজের দিকে।
অন্ধ হাসানের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর সদর উপজেলার জন্তীগ্রামে। বয়স ৩৫। জন্মের পরেই তিনি এক চোখের দৃষ্টি হারান। অপর চোখে সামান্য দেখতে পেলেও কয়েক বছর পর দেখা দেয় সমস্যা। চিকিৎসা শুরু করেন। এরপর ডাক্তারের পরামর্শে করান অপারেশন। কিন্তু অপারেশনের পর তিনি দুচোখেই দৃষ্টিশক্তি হারান। পরে তার চাকরি হয় নিজ গ্রামের মসজিদে। ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি জন্তীগ্রাম জামে মসজিদেই মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করছেন।
দৃষ্টিশক্তি হারালেও হাসান তার হাতের লাঠি দিয়ে দিন কিংবা রাত, ঝড় কিংবা বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে প্রতিদিন মসজিদে যান আজান দিতে। নিজ বাড়ি থেকে মসজিদের দূরত্ব ২০০ ফিট। প্রতিদিন অন্ধ হাসান একাই বাড়ি থেকে বের হন। মসজিদের দরজা খুলে নিজেই মাইকের সুইচ অন করেন এবং আজান দেন।
অন্ধ মুয়াজ্জিন হাসানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার এক চোখ ভালো ছিল আর এক চোখের ছিল সমস্যা। ভালো চোখটার চিকিৎসা করি। কিন্তু ভালো চোখে সমস্যা দেখা দেয়। পরে সেই চোখেও দৃষ্টিশক্তি হারাই। এরপর আমি এই মসজিদে চাকরি পাই। এভাবেই আল্লাহর রহমতে আমার দিন পথ চলছে।’

মিঠু হাসান, নওগাঁ (বদলগাছী-মহাদেবপুর)