বিলাইছড়িতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও চারা বিতরণ
বিলাইছড়ি উপজেলায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মিশ্র ফল বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগী ৭২টি পরিবারের কিষান-কিষানিদের ফল চাষের আধুনিক কলাকৌশলবিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও ফলদ বৃক্ষের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আজ বৃহস্পতিবার বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কিষান-কিষানিদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে তাদের মাঝে ফলদ চারা বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া। বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুভমঙ্গল চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুদর্শন সিকদার, ৩ নম্বর ফারুয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি উপজলা সিএইচটি হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শান্তি বিজয় চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় এখনো অনেক পতিত জমি রয়েছে। সেখানে সঠিক ও কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে ফল ও ফলদ বৃক্ষের বাগান স্থাপন করে পতিত জমি চাষের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে। এতে ফল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, যা এ জেলায় বসবাসরত মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে বিরাট অবদান রাখবে।
বক্তারা বলেন, প্রকৃতিতে যত প্রকার খাদ্যদ্রব্য উৎপাদিত হয় তার মধ্যে ফলই বেশি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু। এর মধ্যে রয়েছে মানবদেহের প্রয়োজনীয় সব গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জাতি গঠনে সুষম খাদ্য তথা ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই দানাজাতীয় খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি ফলের উন্নয়নে সমগুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন।
বক্তারা আরো বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে তথা দারিদ্র্য বিমোচনে ফল ও ফলদ বৃক্ষের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফল চাষ করলে আমাদের দেশ হবে উন্নত। কাজেই স্বল্প পরিসরে ফল চাষ করে দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব।

ফজলে এলাহী, রাঙামাটি