মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদিকুল ইসলাম সোহা ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক রুবেলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ছাত্রলীগের ইতিহাস বিনষ্টকারীর অভিযোগ এনে নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে ৬৭ জন নেতা পদত্যাগ করেছেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো ওই ৬৭ জনের পদত্যাগের কপি আজ শুক্রবার রাতে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের হাতে আসে। পদত্যাগ করা নেতাদের মধ্যে রয়েছেন—জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, জামিল খান, শরীফুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, মেহফুজ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান ফিরোজ, হাসানুল জনী, সম্পাদক তাপস সাহা, সাজেদুল ইসলাম, সা‌ব্বির আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক শাহিন মির্জা, অর্থ সম্পাদক জুবায়ের মাহমুদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সৌরভ ঘোষ। 

তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দাবি করেছেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে অনেককেই পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩০ নভেম্বর মা‌নিকগঞ্জ সরকা‌রি দে‌বেন্দ্র ক‌লেজ মা‌ঠে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের তিন দিন পর সভাপতি পদে সাদিকুল ইসলাম সোহা ও সাধারণ সম্পাদক পদে এনামুল হক রু‌বে‌লের নাম ঘোষণা করা হয়।

এর পর গত ২৩ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের ১৫৪ সদস্যের এক‌টি পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ত‌বে ওই‌ দিনই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এনামুল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাঁদের অব্যাহতি চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ জেলার জ্যেষ্ঠ নেতারা সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এর পর থেকেই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এক‌টি পক্ষ আর পদ না পাওয়া নেতাকর্মীদের আরেকটি পক্ষ বিভক্ত হয়ে পড়ে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ক‌য়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।

আজ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে গত ২৭ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের আয়োজিত মিছিলে হামলা এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদিকুল ইসলাম সোহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটির বিভিন্ন পদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকির পাশাপাশি মামলার ভয় দেখিয়ে তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।