পদ্মা-যমুনায় লঞ্চ চলাচল শুরু
ঘূর্ণিঝড় কোমেন উপকূল অতিক্রমের পর আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে এসেছে। তাই পদ্মা নদীর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও যমুনা নদীর আরিচা-কাজীরহাট রুটে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণায় বলা হয়, থেমে থেমে বৃষ্টি, হালকা দমকা বাতাস ও নদীতে ঢেউ থাকায় এখন শুধু বড় লঞ্চ চলাচল করছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পর্যায়ক্রমে ছোট লঞ্চগুলো চলাচল করবে।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে প্রবল বাতাস ও নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে এই নৌপথ দুটিতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এ সময় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকে। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ফেরি দিয়ে পদ্মা নদী পারাপার হয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিএর আরিচা কার্যালয়ের সহকারী বন্দর কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান জানান,পদ্মা নদীর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২৫টি লঞ্চ ও যমুনা নদীর আরিচা-কাজীরহাট নৌপথে শুধু ১০টি লঞ্চ চলাচল করে। ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে গতকাল সকাল থেকে এখানে হালকা দমকা বাতাস ও নদী দুটিতে কিছুটা ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যেও ফেরি ও লঞ্চ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করে। এরপর সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের তীব্রতা বেড়ে নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ জেগে উঠতে থাকে। এই বৈরী আবহাওয়ার কারণে লঞ্চ চলাচল ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বেলা ১১টা থেকে নৌপথ দুটিতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পাটুরিয়া ঘাটে দায়িত্বরত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল জানান, বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে নয়টি রো রো (বড়), পাঁচটি ইউটিলিটি (মাঝারি) ও তিনটি কে-টাইপ (ছোট) ফেরি চলাচল করছে। ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে প্রচণ্ড বাতাস ও ঢেউয়ের সৃষ্টি হলেও ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়নি। নির্বিঘ্নে ফেরিগুলোতে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হয়েছে।

আহমেদ সাব্বির সোহেল, মানিকগঞ্জ