এলএসডি বিক্রি-সেবনে জড়িত আরও পাঁচ ছাত্র গ্রেপ্তার
লাইসার্জিক অ্যাসিড ডায়েথিলামাইড (এলএসডি) সেবন ও ব্যবসায় জড়িত সন্দেহে আরও পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত থেকে চালানো অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ রোববার সন্ধ্যায় ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. আ. আহাদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাজধানীতে ১৫টি গ্রুপ রয়েছে যারা এলএসডি বিক্রি করে আসছে। গ্রুপগুলো গত এক বছর ধরে এই এলএসডি বিক্রি ও সেবনের সঙ্গে জড়িত। তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের কাজ চলছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সাইফুল ইসলাম সাইফ (২০), এস এম মনওয়ার আকিব (২০), নাজমুস সাকিব (২০), নাজমুল ইসলাম (২৪) ও বি এম সিরাজুস সালেকীন (২৪)। সবাই রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে নেমে দেশে এলএসডি কারবারের সন্ধান পায় পুলিশ। তারপর থেকে এই ভয়ঙ্কর মাদকের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিট। প্রথম তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরুর আগেই শনিবার রাতে শাহজাহানপুর, রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযানে নামে পুলিশ।
ডিসি আহাদ আরও বলেন, গত এক বছর ধরে তারা এলএসডি সেবন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তারা অনলাইনে তাদের এই ব্যবসার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আকৃষ্ট হয়ে তারা এলএসডি সেবন শুরু করে। এখন তারা মূলত বিদেশ থেকে এলএসডি সংগ্রহ করে তা সেবন ও বিক্রি করে চলেছে। তারা মূলত ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এলএসডি নিয়ে আসত।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এলএসডির একটি চালান জব্দ করার খবর ২০১৯ সালে জানিয়েছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসের একটি বাড়ি থেকে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এলএসডির ২৫টি স্ট্রিপ (ব্লট) এবং পাঁচ মিলিলিটার তরল এলএসডি উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে গতকাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মেহেদি হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ২০১৯ সালের ঘটনাটির তদন্ত করতে গিয়ে গুলশান-বনানীতে আরও কয়েকটি চক্রের এলএসডি বিক্রির তথ্য তারা জানতে পেরেছিলেন। তবে চক্রের সদস্যরা তখন গা ঢাকা দিয়েছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক