অর্থ আত্মসাৎ : জনতা ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা কারাগারে
খুলনায় জনতা ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (ইন্সপেকশন) আব্দুল মজিদ সিদ্দিকীকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক শহিদুল ইসলাম তা নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি করেছিল।
দুদকের আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ১৯৯৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের অগোচরে নগরীর শিরোমনি এলাকার মেসার্স ট্রান্স ওশ্যান ফাইবার প্রসেস (বিডি) লিমিটেডকে লে-অফ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। এ সময় গোডাউনে ব্যাংকের ঋণ আদায়ের জন্য ছয় কোটি ৭৫ লাখ টাকার পাট মজুদ আছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন জনতা ব্যাংক করপোরেট শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (ইন্সপেকশন) আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী।
এ ঘটনায় ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো তথ্য অনুসন্ধানে যায় দুদক। পরে ২০১৬ সালে ফের হয় অনুসন্ধান। এ সময় দুদকের টিম গোডাউনে কোনো মালামাল পায়নি। এ ঘটনায় বিবাদীরা যোগসাজসে ব্যাংকের ওই টাকা আত্মসাত করেছে উল্লেখ করে জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা আবু মো. আরিফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে ২০২০ সালে মামলা করেন।
মামলায় মেসার্স ট্রান্স ওশ্যান ফাইবার প্রসেস (বিডি) লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আমিন মোল্লা, গুদাম রক্ষক দিলিপ কুমার অধিকারী, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ সিদ্দিকীসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়। পরে তদন্ত করে ১৯৯৬ সালে চার্জশিট দেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ।
আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান জানান, মামলার বিবাদী আটজনের মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার হন পুরাতন এই মামলার বিবাদী আব্দুল মজিদ সিদ্দিকী। পরে খুলনায় আনা হলে তিনি আদালতে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, খুলনা