নতুন টেলিকম নীতিমালায় উদ্যোক্তাদের টিকে থাকার শঙ্কা
দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন টেলিকম নীতিমালা মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট শিল্প সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, নীতিমালা কার্যকর হলে উদ্যোক্তাদের টিকে থাকা কঠিন হবে, কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বিদেশে অর্থ পাচারের সুযোগ তৈরি হবে। গোষ্ঠী স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে এই পলিসি করা হয়েছে। এখানে দেশীয় উদ্যোক্তাদের কোনো স্থানই নেই। নতুন টেলিকম পলিসি কার্যকর হলে দেশীয় উদ্যোক্তাদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।
গতকাল রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া কমপ্লেক্সে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজিস রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত মতবিনিময়সভায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দে।
বক্তারা বলেন, যে প্রক্রিয়ায় নতুন টেলিকম নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে, তাতে দেশীয় উদ্যোক্তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তারা অভিযোগ করেন, এতে গোষ্ঠীস্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, ছোট অপারেটরদের উপেক্ষা করা হয়েছে এবং আইজিডব্লিউ, নিক্স ও আইসিএক্সকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আইওএফ সভাপতি আসিফ রাব্বানী বলেন, নতুন নীতিমালা দেশীয় উদ্যোক্তাদের কোনো স্থান দেয়নি। আগের মতোই ভিওআইপি গডফাদারদের রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।
আইএসপিএবির যুগ্ম মহাসচিব ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন জানান, নীতিমালায় গ্রাহক বৈষম্য তৈরি হবে এবং জেলা পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হবে।
আইআইজিবির পক্ষ থেকে মেজর (অব.) মাহমুদ শাহেদ বলেন, নীতিমালায় লাইসেন্স আপগ্রেডেশন বা ডাউনগ্রেডেশনের সুযোগ না রাখায় খাতটি সংকটে পড়বে।
সভা শেষে আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম জানান, নীতিমালার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ ইতোমধ্যে সরকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি সতর্ক করেন, দাবিগুলো মানা না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আইএসপিএবির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া, আইআইজিবির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ জুনায়েদ, এআইওবি প্রেসিডেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী সদস্য আহমেদ উর রহমান রোমেল, টিআরএনবির সাবেক সভাপতি রাশেদ মেহেদী প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক