মাথায় কেন টাক পড়ে?
স্বাস্থ্যগত কারণে যেসব বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়, মাথার চুল কমে যাওয়া বা টাক পড়া তার মধ্যে অন্যতম। সাধারণত পুরুষদেরই এই অস্বস্তিকর যন্ত্রণাটি বেশি সইতে হয়।
টাক পড়া বা চুল কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা নানা সময় নানাবিধ কারণকে দায়ী করলেও তাঁদের কোনোটিই সুনির্দিষ্টভাবে চুল কমে যাওয়ার জন্য দায়ী নয়। তবে এর সমাধান বুঝি এবার পাওয়া গেল।
অন্তত জাপানের টোকিও মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সে দাবিই করছেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, মাথার চুল নাকি মাথার ত্বকে পরিণত হতে থাকে ক্রমে, আর এর ফলেই মাথার চুল কমে গিয়ে টাক দেখা দেয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক লাইফস্টাইল-বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ওয়্যার্ড’ জানিয়েছে এই খবর।
ওয়্যার্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের চুলে যে অসংখ্য স্টেমসেল থাকে, সেগুলো বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চুলের ফলিকল উৎপাদন করা বন্ধ করে দেয়। ফলে চুলের বৃদ্ধি থেমে যায় এবং চুল পড়ে যায়।
এভাবে স্টেমসেলগুলোর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন চুলের উৎপাদনও কমতে থাকে এবং দেখা দেয় টাক। আর চুলের ফলিকলগুলো ক্রমে মাথার ত্বকে পরিণত হয়।
গবেষকদলের প্রধান এমি নিশিমুরা এবং তাঁর সহযোগীরা একপাল ইঁদুরের ওপরে পরীক্ষা চালিয়ে এসব তথ্য পেয়েছেন।
তাঁদের ভাষ্যমতে, ৫৫ বছর পার হলেই মানুষের চুলের ফলিকলগুলো ত্বকে পরিণত হতে শুরু করে, এ প্রক্রিয়া অনেকের ক্ষেত্রে অবশ্য অনেক আগেই শুরু হয়ে যেতে পারে।
গবেষকরা আশা করছেন, এই নতুন আবিষ্কারের সূত্র ধরে হয়তো তাঁরা টাক নির্মূলের একটা উপায় পেয়ে যাবেন। যদিও অন্যরা দাবি করছে, ফলিকলের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি টাক পড়ার পেছনে অন্য কারণও থাকতে পারে।

অমর্ত্য গালিব চৌধুরী