নির্বাচনী সহিংসতা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে নির্বাচনী সহিংসতা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এটা অব্যাহত রাখতে চায়।
রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে ধীরগতিতে ভোট চলছে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন।
ভোটদানে বিলম্বের পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা ইসি খতিয়ে দেখবে বলেও জানান তিনি। বলেন, 'ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কারণে ধীরগতির ভোট দেওয়ার কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি।'
নির্বাচন কমিশন কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে রংপুর সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার মো. জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, আনিসুর রহমান, স্কোয়াড্রন লিডার শাহরিয়ার আলম কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
রসিক নির্বাচনে মঙ্গলবার সকাল থেকে ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
রিটার্নিং অফিসার আব্দুল বাতেন জানান, মেয়র পদে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত ১১টি আসনে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ২২৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার ৩৪৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুই হাজার ৬৯৮ জন পোলিং অফিসার তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রথম রসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। বর্তমান মেয়রের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।

ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)