তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ সব ক্ষেত্রে পূর্ণ গণতন্ত্র চায়। গণতন্ত্র বিনির্মাণের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো এমনভাবে দাঁড় করাতে হবে যেন সেগুলো সবসময় গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের মানুষ যে আশাগুলো করে সেই আশাগুলোকে পূরণের জন্য আমাদের একজন নেতা দরকার, সেই নেতা হলেন তারেক রহমান। আমরা মনে করি, তার প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের খুঁটি শক্তিশালী হবে।
আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক, রেডিও-টেলিভিশনের বার্তা প্রধান ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। জাতির বিবেক, জাতির মতামত সবকিছুই গণমাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। কিন্তু সমাজের সেই দর্পণ আজ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে, তবে সাংবাদিকদের দর্প যেন চূর্ণ না হয়। আপনারা যদি রাষ্ট্র কাঠামোয় সংস্কার চান, সংস্কারকৃত সমাজ চান, সংস্কারকৃত রাষ্ট্র চান, গণতান্ত্রিক সংস্কার চান, সর্ব পর্যায়ে বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণ করতে চান, সেটা আপনারাই পারবেন। আপনারাই সমাজের দিকনির্দেশক। রাজনীতিবিদরা রাষ্ট্র পরিচালনার ড্রাইভিং সিটে থাকে, কিন্তু আপনারা পথ নির্দেশ না করলে সমাজ বিচ্যুত হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গত কয়েকদিন আগে যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, খ্যাতনামা পত্রিকা প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের কার্যালয় আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা সারা বিশ্ব দেখেছে। এটা আমাদের জন্য জাতি হিসেবে লজ্জার। এটা কোনোভাবেই আমরা দুঃখ প্রকাশ বা ক্ষমা প্রার্থনা করে সমাপ্ত করতে পারব না। এখানে সরকারের দায় সবচে বেশি। এগুলো সরকারের দুর্বলতা। মবক্রেসি কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনির্মাণের সময় এখনই।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মনে ব্যাপক একটা পরিবর্তন এসেছে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে। বাংলাদেশের মানুষ সব ক্ষেত্রে পূর্ণ গণতন্ত্র চায়। গণতন্ত্র বিনির্মাণের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো এমনভাবে দাঁড় করাতে হবে যেন, সেগুলো যেন সবসময় গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। আমাদের সাংবাদিক বন্ধুদের অনেকেরই পলিটিক্যাল আফিলিয়েশন থাকতে পারে, তবে স্বার্থের বিবেচনায় আমরা যাতে সবসময় দেশের পক্ষেই থাকি।
বিএনপিনেতা সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের খুঁটি যেন শক্তিশালী হয়, এমনভাবেই আমরা তার প্রত্যাবর্তনকে মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চাই। বাংলাদেশের মানুষ যে আশাগুলো করে সেই আশাগুলোকে পূরণের জন্য আমাদের একজন নেতা দরকার, সেই নেতা হলেন তারেক রহমান। তিনি বাধ্য হয়ে ১৭-১৮ বছর কষ্টকর নির্বাসিত জীবনযাপন করেছেন। তিনি আসবেন, সারা জাতি অপেক্ষমাণ। তার এই প্রত্যাবর্তনকে আমরা গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য কাজে লাগাতে চাই। ব্যক্তিকে শক্তিশালী করার কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই। নেতৃত্ব অবশ্যই থাকবে, কিন্তু ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরতান্ত্রিকতার কোনো প্রচলন আমরা করব না। এটা আমাদের অঙ্গীকার। দলতান্ত্রিক কোনো স্বৈরতান্ত্রিকতা আমরা প্রচলন করব না, এটা আমাদের প্রত্যাশা। সেই অঙ্গীকার ও এই প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য আমরা আপনাদের ভূমিকা কামনা করছি।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, যদি আপনারা রাষ্ট্র, সমাজ , জনগণের প্রতি এবং সংস্কারকৃত সমাজ বিনির্মাণের জন্য আপনারা যদি প্রতিশ্রুত থাকেন, ইনশাল্লাহ যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব জনগণ আমাদের ওপর অর্পণ করেন, আমরা এখনই এই প্রত্যাশা দিতে পারি যে, আপনাদের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক