কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে স্থবির জনজীবন
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। ডিসেম্বরের শেষভাগে হঠাৎ করেই কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার স্বাভাবিক জনজীবন। শীতের দাপটে মানুষের চলাচল কমে যাওয়ায় কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায়। সারাদিন ধরে হিমেল বাতাস বইতে থাকায় সড়ক, হাটবাজার ও খোলা জায়গায় মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যারা বের হচ্ছেন, তাদের অধিকাংশই ভারী শীতবস্ত্র পরে চলাফেরা করছেন।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
খানসামা, বীরগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে শীতের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে। ভোরের তীব্র ঠান্ডার কারণে দিনমজুর, রিকশাচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষ কাজে বের হতে পারছেন না। ফলে তাদের দৈনন্দিন আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
খানসামার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মিরল ইসলাম বলেন, কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে বাইরে বের হতে মন চায় না। এই শীতে কাজ করা খুব কষ্টকর।
একই উপজেলার টংগুয়া এলাকার বাসিন্দা মাসুদ আলম জানান, সারাদিন মাঠে কাজ করি। কিন্তু এই ঠান্ডা আর কুয়াশার কারণে কাজ করতে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, আগামী কয়েকদিন দিনের তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। ২৩ ডিসেম্বরের পর থেকে রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ডিসেম্বরের শেষদিকে জেলার কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বা শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

মাসুদ রানা, দিনাজপুর (বীরগঞ্জ-খানসামা)