বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফের পেঁয়াজ আমদানি শুরু
দীর্ঘ তিন মাস পর ভারত থেকে ফের পেঁয়াজ আমদানির শুরু হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে পেঁয়াজের প্রথম চালান ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে।
পেঁয়াজের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরার মেসার্স এইচ কে এ এন্টারপ্রাইজ ও যশোরের মেসার্স সাবাহ এন্টারপ্রাইজ।
আমদানি করা পেঁয়াজ ছাড়করণ প্রতিষ্ঠান রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল। তিনি জানান, আপাতত এ চালানে তিনটি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে মাত্র ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
এদিকে আমদানির খবরে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে বলে সাধারণ ক্রেতারা মনে করছে।
আজ বেনাপোল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৮০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে মোকামে দাম কমে যাওয়ার কারণে খুচরা বাজারেও দাম কমেছে বলছে ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী পরিচালক শ্যামল কুমার নাথ বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এটি অল্প পরিসরে। প্রতিদিন ২০০ আমদানিকারক আইপি পাবেন এবং একজন আমদানিকারক ৩০ থেকে ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। সরকারের কাছে অনুরোধ পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। তাহলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও কমে আসবে।
ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের মূল্য প্রতিকেজি ০.২৮ সেন্ট। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতিকেজি পেঁয়াজ শূন্য দশমিক ৪১ সেন্ট মূল্যে শুল্কায়ন করেছে। যা বাংলাদেশি টাকায় মূল্য দাঁড়ায় ৪৯ দশমিক ২০ টাকা।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত খালাস নিতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মহসিন মিলন, বেনাপোল