জামায়াত প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ, আহত ১৫
সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর-সদর একাংশ) আসনের প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহীনুর আলমের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই হামলায় জামায়াতের অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেছে জামায়াত। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাজীপুর উপজেলার সোনামুখী এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতদের মধ্যে পিপুলবাড়িয়া আঞ্চলিক শাখা জামায়াতের সভাপতি আ. আওয়াল, ছোনগাছা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নজরুল ইসলাম ও সদর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহকারী সেক্রেটারি নুর আলমকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কাজিপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক আরমান হোসেনসহ অন্যদের বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা শাহীনুর আলম জানান, সোমবার রাতে কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের স্থলবাড়ি গ্রামে একটি ইসলামি জলসায় তিনি উপস্থিত হন। সেখানে তাঁকে বক্তব্য দিতে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁর কর্মীদের মারধর করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, সেখান থেকে ফেরার পথে সোনামুখী এলাকায় পৌঁছালে বিএনপি নেতা-কর্মীরা অতর্কিতভাবে তাঁর বহরে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী সেলিম রেজা জামায়াতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘জামায়াতের অভিযোগ সত্য না। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দোষ চাপাতে তারা মিথ্যা অভিযোগ করছে। তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ‘গতকাল রাতে আমাদের বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে জামায়াত নেতাকর্মীদের কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। রাতে ওয়াজ মাহফিল থেকে আমরা যে যার বাসায় ফিরে যাই। পথের মধ্যে জামায়াতের নেতাকর্মীর ওপর নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ অথবা তারা নিজেরাই এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে বিএনপির সম্মান ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে নোংরা রাজনীতির উদ্দেশ্যে এরকম মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েতুর রহমান বলেন, মাহফিলে জামায়াত ও বিএনপির দলীয় প্রার্থী দুজনই উপস্থিত ছিলেন। পরে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মীদের মধ্যে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়। ওয়াজ মাহফিল থেকে টেলিফোন করা হলে আমাদের পুলিশ তাৎক্ষণিক সেখানে পৌঁছে যায়। এখন পর্যন্ত সেখানে টহল অব্যাহত আছে। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পড়েনি। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শরীফুল ইসলাম ইন্না, সিরাজগঞ্জ