ঝিনাইদহে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৬
ঝিনাইদহের সদর উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের হারানঘাট গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের গাড়িতেও হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম এবং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজ বিশ্বাসের মধ্যে এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
এরই জের ধরে রোববার বিকেলে হারানঘাট গ্রামের কল্যাণপুর বাজারে নজরুল ইসলামের সমর্থক মিঠু বিশ্বাসকে (৪২) কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। পরে পথে সিরাজ বিশ্বাসের সমর্থক গোলাম ফারুক (৬০) ও রকিবুল ইসলামকে (৪৫) নজরুল ইসলামের সমর্থকরা এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। আহত মিঠু বিশ্বাস, গোলাম ফারুক ও রকিবুল ইসলামকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ছোঁয়া ইসরাইল জানান, হাসপাতালে আসা আহত তিনজনেরই শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে গোলাম ফারুকের অবস্থা সব থেকে বেশি খারাপ। তাই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
ঘটনার পর সিরাজ বিশ্বাসের সমর্থক গোলাম ফারুক ও রকিবুল ইসলাম একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে নারিকেলবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে সাহায্য চান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে গাড়িতে তুললে নজরুল ইসলামের সমর্থকরা পুলিশের গাড়িতে হামলা করে।
এ সময় তারা গাড়ির ভেতর থেকে বাইরে নামিয়ে গোলাম ফারুক ও রকিবুল ইসলামকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে এবং পুলিশের পিকআপ ভাঙচুর করে। এই হামলায় এক পুলিশ সদস্যও আহত হন। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পুলিশের গাড়িতে হামলা করা হয়েছে এবং একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’

মনজুরুল আহসান, ঝিনাইদহ (সদর-কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর)