মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা, এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড
ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্র তাওহীদ ইসলামকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে মকবুল নামের এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। এদিন বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামির পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
বিচারক অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। এছাড়া আসামির স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদণ্ডের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার রসুলপুর জামিআ ইসলামিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় নাজেরা বিভাগে পড়াশোনা করতো ১০ বছর বয়সি তাওহীদ ইসলাম। গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায় সে মাদ্রাসায় যায়। রাত সাড়ে ৮টায় ক্লাস শেষে মামা মহসিনের দোকানে যায়। তবে মামাকে না পেয়ে একাই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সে। এরপরে পথে মকবুল হোসেন তাকে অপহরণ করে পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরের দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসামির পছন্দ মতো জায়গায় মুক্তিপণ রেখে আসে ভুক্তভোগীর মামা। টাকা পেয়েও আসামি শিশুটিকে ফেরত দেয়নি। পরে র্যাব অভিযান চালিয়ে মকবুলকে গ্রেপ্তার করে। সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয় তাওহীদের মরদেহ।
পরদিন নিহতের মা মোসা. তাসলিমা আক্তার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় এ মামলাটি করেন। মামলার পরে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ কে এম সাইদুজ্জামান গত বছরের ৩১ জুলাই মকবুলের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।

আদালত প্রতিবেদক