আইনজীবী ও অ্যাটর্নি জেনারেলের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়
অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে আাদলত উভয়কে শান্ত করে আগামী ২৫ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেন।
আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ। এ সময় ফেসবুকে আদালত অবমাননাকর পোস্ট দেওয়ার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহসিন রশিদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
শুনানিতে আপিল বিভাগে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও রিটকারীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের বৈধতার মামলার শুনানিতে রিটকারী ‘লিমিট ক্রস’ করেছেন বলেও মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এসময়, সব পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেন প্রধান বিচারপতি। পরে সবাই যার যার আসনে ফিরে যান।
চলতি বছরের শুরুতে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেওয়ার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ নেওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট হাইকোর্ট খারিজ করে। আদালত তখন মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে বৈধভাবে মেনে নিয়েছে, তাই এ নিয়ে বিতর্ক থাকার কোনো সুযোগ নেই।’
রিটটি দায়ের করেছিলেন আইনজীবী মহসীন রশিদ। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত নেওয়া হয়েছিল। ওই সময় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের সাতজন বিচারপতি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে মতামত দেন এবং একটি স্পেশাল রেফারেন্স জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে শপথ পাঠ করেন।
স্পেশাল রেফারেন্সে বলা হয়, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন এবং রাষ্ট্রপতি ৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন। তাই সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮ (৩) অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করতে সক্ষম নন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন। পরে রিট খারিজ করে হাইকোর্ট বলেন, দেশের জনগণ বৈধতা দেওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। এরপর তিনি আপিল বিভাগে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক