দুই বছর আগেও হত্যাচেষ্টা হয় মামুনকে, প্রাণ যায় আইনজীবীর
পুরান ঢাকায় আদালতপাড়ার কাছে দিনে দুপুরে খুন হওয়া তারিক সাইফ মামুনকে দুই বছর আগে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার বিজি প্রেসের সামনে হত্যাচেষ্টা করা হয়। সেসময় মামুন বেঁচে গেলেও মাথায় গুলি লেগে ভুবন চন্দ্র শীল নামে এক আইনজীবীর প্রাণ যায়।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় পুরান ঢাকার আদালতপাড়ার কাছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফটকে সেই মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে অজ্ঞাতনামা দুই অস্ত্রধারী। মামুন এক সময় পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন। চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০ বছর সাজা খেটে ২০২৩ সালে কারামুক্ত হন মামুন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার মল্লিক আহসান সামী গণমাধ্যমকে বলেন, “মামুন হচ্ছেন ইমাম-মামুন গ্রুপের। একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবেই পুলিশের খাতায় তার নাম রয়েছে।”
এদিকে ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় মামুনকে লক্ষ্য করে আরেক গ্রুপের সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলি করেন। সে সময় রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে থাকা আইনজীবী ভুবন চন্দ্র শীল মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিন দিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সেসময় পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল, কারাগারে থাকা ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ইমনের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা প্রাইভেটকারে থাকা মামুনের ওপর হামলা চালাতে গিয়েছিল। সে সময় লক্ষ্যভ্রষ্ট গুলি ভুবনের মাথায় লাগে।
এ দিকে মামুনের স্ত্রী রিপা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, মামুন একটি মামলার হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। আমার স্বামী বিএনপি সমর্থিত একজন কর্মী ও পাশাপাশি ব্যবসা করতো। আজ তার কোর্টে হাজিরা ছিল। আমরা জানতে পারি আমার স্বামী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আছেন। পরে ঢাকা মেডিকেলে হাসপাতালে এসে আমার স্বামীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, তারিক সাঈফ মামুন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী কি না বলতে বলতে পারছি না। তবে তিনি ক্যাপ্টেন ইমন গ্রুপের লোক ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মামুনের বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। আজ সে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিল। সেখান থেকে বের হওয়ার পরেই দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।

নিজস্ব প্রতিবেদক