সমবায় সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব : ফারুক-ই-আজম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সমবায় সংগঠনের সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম শিশু একাডেমিতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা সমবায় বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এর আগে, দিবসটি উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য— ‘সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়’।
উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, সংগঠনের সদস্যদের পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস থাকতে হবে। আস্থা ও বিশ্বাস ছাড়া সংগঠন শক্তিশালী হয় না।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশে সমবায়ের শুরু কেবল ১৯৯৪ সালে নয়, ১৯০৯ সালে যশোর জেলার পাইকগাছায় কো-অপারেটিভ সোশ্যাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। সমবায়ের প্রতিটি সদস্যকে ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করে, বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করতে হবে।
স্থানীয় পর্যায়ে অর্থনীতি শক্তিশালী করতে তরুণ ও নারীদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, আমাদের দেশের জনসংখ্যার একটি বড় সংখ্যক অংশ তরুণ। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে তরুণরা জনসংখ্যার সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। জুলাইতে পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আন্দোলন হয়েছে, সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের সে আঙ্ক্ষাকার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সেই সাথে নারীদেরকেও সমবায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।
ফারুক-ই-আজম বলেন, নরীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল ও স্বাবলম্বী হলে ভবিষ্যত প্রজন্ম সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। স্থানীয় পর্যায়ে সমবায়ে কৃষক, কারিগর ও নারীদের সম্পৃক্ত করলে স্থানীয় অর্থনীতি শক্তিশালী হবে।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে যে কেউ সমবায়ে যুক্ত হয়ে উৎপাদন, বিপণন, আত্ম-সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সমবায় সংগঠনগুলোকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
জাতীয় সমবায় কার্যালয়-চট্টগ্রাম এর যুগ্ম নিবন্ধক মোহাম্মদ দুলাল মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন— চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. মোসলেহ উদ্দিন।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)